সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স
২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, আওয়ামী লীগ উন্নয়নের মিথ্যা গালগল্প শুনিয়ে লাখ লাখ কোটি টাকা লুটপাট করেছে। কৃষক-শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে নিজেদের ভাগ্য গড়েছে, আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার বিলডোরা ইউনিয়ন কৃষক দলের উদ্যোগে আয়োজিত কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে এমরান সালেহ প্রিন্স গত বন্যায় বিলডোরা ইউনিয়নে বিএনপির ত্রাণ কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে বলেন, স্বয়ং তারেক রহমান পত্রিকায় বিলডোরা গ্রামে বন্যায় অসহায় মানুষের কথা জেনে আমাদের পাঠিয়েছিলেন সহায়তা করার জন্য। তারেক রহমান সব দিকেই খেয়াল রাখেন। সুদূর লন্ডনে নির্বাসনে থেকেও বিলডোরা গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের কষ্ট তারেক রহমানের দৃষ্টি এড়ায়নি। তিনি চারন নেতায় পরিণত হয়েছেন।
এ ছাড়া তিনি বলেন, অপ্রয়োজনীয় মেগা প্রজেক্টের নামে আওয়ামী নেতারা মেগা দুর্নীতি করেছেন। চট্টগ্রামে শেখ হাসিনা তার বাবার নামে অপ্রয়োজনীয় টানেল করে নিজের জন্য কোটি কোটি টাকা অপচয় করে সাত তারকা অতিথিশালা নির্মাণ করেছিলেন। অথচ দুর্দশাগ্রস্ত কৃষকের জন্য ঋণ মওকুফ করতে পারেননি, বিনামূল্যে সার দেওয়ার অঙ্গীকার করেও দেননি, কৃষকের পণ্যের ন্যাযমূল্য দেননি। তার মতো মিথ্যাবাদী, প্রতারক, ঠকবাজ, অভিনেতা, নিষ্ঠুর ফ্যাসিস্ট রাজনীতিবিদ খুঁজে পাওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, আল্লাহ বাড়াবাড়ি পছন্দ করেন না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতার নেশায় হত্যা, গুম করে নরকের দেশে পরিণত করেছিল।
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হাস্যোজ্জ্বল আলাপচারিতার কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ক্ষমতার দম্ভে হাসিনা এক সময় ড. ইউনূস ও খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু থেকে নদীতে ফেলে মারতে চেয়েছিল। আল্লাহর বিচার, আজ ড. ইউনূস এবং বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে হাস্যোজ্জ্বল আলাপচারিতায় আর হাসিনা গণহত্যা করে নিকৃষ্ট ফ্যাসিস্ট পরিচয় ধারণ করে প্রভুর দেশে পলাতক। আল্লাহ যাকে সম্মান দেন, কেউ তা কেড়ে নিতে পারে না।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ,তারেক রহমান এবং বিএনপি কৃষি ও কৃষকের কল্যাণে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তারেক রহমান একজন কৃষকবান্ধব নেতা। সবসময়ই তিনি কৃষি ও কৃষকের কল্যাণে কাজ করেন। জনগণের রায়ে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে তিনি কৃষি ও কৃষকের কল্যাণে করণীয় বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করবেন।
পাশাপাশি তিনি বলেন, সম্প্রতি বন্যায় কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, সরকারের কাছ থেকে সময়মতো প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। তিনি বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটাতে পুরোনো কৃষি ঋণ মওকুফ, সুদমুক্ত নতুন কৃষি ঋণ প্রদান, বিনামূল্যে সার, বীজ, কীটনাশক, তেল প্রদান, এনজিও ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ , ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পুনর্নির্মাণসহ কৃষি পুনর্বাসনের দাবি জানান।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি
ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা
বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা
সিলেটে মাজিদের ফিফটি
অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন
মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে
ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না
দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক
সুন্দরগঞ্জে ছয় পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম
বৈষম্যের শিকার কুমিল্লার ১৫ হাজার এতিম শিশু
দালালচক্রে জিম্মি রোগীরা
ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই সাটুরিয়ার শিশু শিক্ষার্থীদের ভরসা
পঞ্চগড়ে চিকিৎসক পদায়নের দাবিতে সড়ক অবরোধ
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক ধর্ম উপদেষ্টা ড.খালিদ হোসেন
কুয়াকাটায় এক ইলিশ ৬ হাজার টাকা
পবিত্র কুরআনের পর সত্য হিসেবে মানুষ সংবাদপত্রকে মনে করতো
পঞ্চগড়ে সিন্ডিকেট ভাঙতে তেঁতুলিয়ায় ৫৫ টাকায় আলু বিক্রি
দখল-দূষণে বিপন্ন নরসুন্দা নদী
কক্সবাজারগামী ট্রেনের লাকসামে যাত্রাবিরতি চাই